যিনি ব্যারিস্টার; তিনিই ইউটিউবার

বিনোদন প্রতিবেদক পড়াশোনায় যেমন মেধাবী, তেমনি সৃজনশীল কাজেও তার দারুণ আগ্রহ। তিনি নিশাত খুশবু। মুন্সিগঞ্জের এই প্রতিভাবান নারী এরই মধ্যে নিজেকে ব্যারিস্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেই সঙ্গে নৃত্যশিল্পী, সংবাদপাঠিকা ও ইউটিউবার পরিচয়েও আলো ছড়াচ্ছেন নিয়মিত।

খুশবু জানান, ছোট বেলা থেকেই নাচের প্রতি তার ঝোঁক ছিল। তবে বাবার ইচ্ছেতে শেখেন গান। পাশাপাশি নাচের চর্চাও চলে। প্রতিভার ঝলক দিয়ে খুশবু শৈশবেই তিনবার জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার লাভ করেন।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের মাধ্যমে এলএলবি সম্পন্ন করেছেন খুশবু। এরপর ‘বার-এট-ল’ সম্পন্ন করতে ২০১৩ সালে পাড়ি জমান লন্ডনে। গেল ৭ বছর ধরে সেখানেই অবস্থান করছেন করছেন তিনি। ২০১৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়াশোনা শেষ করেন এবং এরপর এলএলএম, এমবিএ ও পিজিডি সম্পন্ন করেন।

সেবছরই অর্থাৎ ২০১৮ সালেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন খুশবু। স্বামী, সংসার ও চাকরি নিয়ে তার ব্যস্ততা। এরপরও দূরে সরেননি সংস্কৃতি চর্চা থেকে। সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ইউটিউবেও সরব হয়েছেন তিনি। নিয়মিত ইউটিউবিং করছেন। এছাড়া লন্ডনে থেকে উপস্থাপনার কাজও করছেন তিনি।

ব্যারিস্টার হওয়া সত্ত্বেও উপস্থাপনা ও ইউটিউবিং করার বিষয়ে নিশাত খুশবু বলেন, আমার বাবা একজন এডভোকেট, যার কারণে তিনি চেয়েছিলেন আমি যেন ব্যারিস্টার হই! বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই আমি ব্যারিস্টার হয়েছি। আর এর বাইরে আমি যা যা করছি সেগুলো আমার ইচ্ছে বা স্বপ্নের একাংশ বলা যায়। আমি সবসময় ক্রিয়েটিভ কিছু করতে পছন্দ করি তাই স্বপ্নের পথেই ছুটেছি বলা যায়।

এত কিছু একসঙ্গে সামলানোর বিষয়ে এই ইউটিউবার বলেন, সত্যি বলতে একটু কঠিন হয়ে যায়। তারপরও যতটুকু পারছি করছি। চাইলেই সময় বের করা যায়, আর আমি সেটাই করি। মোটকথা হচ্ছে, ইচ্ছা প্রকাশ বা স্বপ্ন দেখলেই হয় না; সেটা পূরণ করার জন্য সদিচ্ছা, সাহস আর একনিষ্ঠতা প্রয়োজন। এগুলো মেনে চলতে পারলে স্বপ্ন একদিন হাতের মুঠোয় ঠিকই ধরা দিবে; এটাই আমি বিশ্বাস করি।

৭ বছর ধরে দেশের বাইরে থাকলেও প্রতি বছরই কিছু সময়ের জন্য দেশে আসেন খুশবু। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসেছিলেন এবং নাগরিক টেলিভিশনের ভাষা দিবসের একটি নাটকে অভিনয়ও করেছেন তিনি। শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। ফেরার পর শোবিজের কাজে নিয়মিত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার।


 

সদ্য প্রকাশিত

সম্পর্কিত পোস্ট