নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সকল চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের সর্বপ্রথম ও একমাত্র সংগঠন ” বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন- বিএফএসএ” আত্মপ্রকাশ করেছে।
রবিবার বেলা ২.৩০ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত একটি সাধারণ সভায় সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে।
বাংলাদেশে চলচ্চিত্র বিষয়ে উচ্চশিক্ষা একটি নতুন বিষয়। বাংলাদেশের কেবল পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আর ২ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হচ্ছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
রবিবার এই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। সভায় প্রায় ৫১ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত সম্মতিপত্রে সংগঠনটি গঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটি আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন এর শিক্ষার্থী সাদমান শাহরিয়ার। সংগঠনটির আহ্বায়ক জানান, “চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা;
মানসম্মত ও সুস্থধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শন;চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনকে বেগবান করা; নিজেদের চলচ্চিত্র বিষয়ক অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় চলচ্চিত্র শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আনাই আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য। আমরা চাই বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র বিষয়ে পড়াশোনা চালু হোক, চলচ্চিত্র সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা অর্জন করে চলচ্চিত্র নির্মান করলেই আমাদের চলচ্চিত্রের মান বাড়বে, এই খাতে সৃষ্টি হবে নতুন বিপ্লব।আমরা সকলের কাছে এই নতুন যাত্রায় দোয়া প্রার্থী, চলচ্চিত্রের জয় হোক”।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা কমিটি ও খসড়া গঠনতন্ত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ আল আমিন রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী মৃত্তিকা বিনতে রাশেদ।
নব-নির্বাচিত সভাপতি জানান, “বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ফলপ্রসূ হাতিয়ার হলো চলচ্চিত্র, একটা সমাজ বিনির্মাণে যেমন সুষ্ঠু চলচ্চিত্র ভূমিকা রাখতে পারে তেমনি সমাজকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যেতে পারে খারাপ চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের রয়েছে গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস। সেই ইতিহাসকে আবার ফিরিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীরা, সেই স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাসকে আবারো ফিরিয়ে আনার পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যেতে আমরা শুরু করলাম বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন”।