ইয়ুথ বাংলা’র প্রেসিডেন্ট মুনা চৌধুরী’র নেতৃত্বে মুজিব শতবর্ষে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের অনন্য অর্জন উদযাপনে ইয়ুথ বাংলা পরিবার

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ শতভাগ বিদ্যুতায়নের পথে যাত্রা শুরু করল। মুজিব শতবর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়নের এই অনন্য মাইলস্টোন অর্জন উদযাপনের স্বাক্ষী হতে পেরে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন গর্বিত। ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন এর সম্মানিত প্রেসিডেন্ট মুনা চৌধুরী জানান ; বিদ্যুৎ উন্নয়নে সফলতার পিছনের কারিগর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমাদের সকলের অহংকার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-এর ভিশনারি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। আলোর পথে যাত্রার সফল এই দিনে আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সীমা হামিদ এবং ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউণ্ডেশনের প্রতিটি সদস্য প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু স্যারকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।

চলুন এক নজরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় তাঁর অভাবনীয় কিছু অর্জন আমাদের তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরি—
১। শতভাগ বিদ্যুতায়নের এই লম্বা পথটি বাংলাদেশ পাড়ি দিয়েছে একেবারেই শূন্য থেকে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে বলতে গেলে বিদ্যুৎ বলতে তেমন কিছুই ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা নিয়ে এর উৎপাদন শুরু করেন। সেটিই এখন ৩০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

২। স্বাধীনতার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের জনগোষ্ঠীর মাত্র ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছিল। এরপর গত এক যুগে বাকি ৫৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় এসেছে। এক যুগে এ অভাবনীয় সাফল্যের মাধ্যমে স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং মুজিববর্ষ পূর্তিতে দেশের সব নাগরিককে বিদ্যুতের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করল সরকার।

৩। গত ১২ বছরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা পাঁচ গুণ বেড়েছে।

৪। সন্দ্বীপে, রাঙ্গাবালি দ্বীপে এমনকি যমুনা,তিস্তার অনেক দুর্গম চরাঞ্চলেও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

৫। আজকের উদ্বোধনকৃত পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে একটি ১৩শ’ ২০ মেগাওয়াট পরিবেশ বান্ধব আল্ট্রা-সুপারক্রিটিকাল প্রযুক্তিসহ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের ১৩তম দেশে পরিণত হয়েছে।

সদ্য প্রকাশিত

সম্পর্কিত পোস্ট