সোনিয়া রিফাতের পোষা কুকুর হত্যার অভিযোগ, মিরপুরের ৩ থানায়ই বলছে ঘটনাস্থল তাদের অধীনে না”

এই সময়ের জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ও মডেল সোনিয়া
রিফাতের পোষা একটি কুকুরকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ঘাতক গাড়ির চালক একই বিল্ডিংয়ের একটি ফ্লাটের বাসিন্দার ড্রাইভার। গাড়িটির মালিক গৌতম, একটি ফাইন্যান্স কোম্পানিতে কর্মরগ।
জানা যায় কুকুরটি গার্ড ডগ হিসেবে থাকতো বিল্ডিংয়ের সামনে। খুব আদর যত্নে পুষতেন সোনিয়া রিফাত। বিগত কয়েক মাস ধরে বিল্ডিংয়ের কয়েকজন বাসিন্দা কুকুরটারে বিনা কারণে অপসারনের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারপর হটাৎ রবিবার রাত ৯টার দিকে বিল্ডিংয়ের গ্যারেজের সামনে ঘুমিয়ে থাকা কুকুরটার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গ্যারেজে ঢুকে যায় গাড়িটা।
দুই দিন ট্রিটমেন্ট চলার পর বুধবার সকালে মারা যায় কুকুরটি। কুকুরটির নাম ছিলো কুকি।
গাড়ির মালিকের স্ত্রী বলেন, রাস্তার পাশে ঘুমালে গাড়ি চাপা তো দিবেই।
ঘাতক ড্রাইভারের সাথে যোগাযোগ করে কেন এরকমটা করেছেন জানার চেষ্টা করলে গাড়ির মালিক গৌতম তার ড্রাইভারের সাথে কোন রকম কথা বলতেও দেননি সোনিয়া রিফাতকে। এতে সন্দেহ হয় যে গৌতম ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রাইভারকে দিয়ে ব্যাপারটা ঘটিয়েছেন যেহেতু আগেও কুকুর নিয়ে তাদের আপত্তি ছিলো।
সোনিয়া রিফাতের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রথমে কাফরুল থানায় মামলা করতে যান তিনি। তারা দাবি করে ঘটনাস্থল শেওড়াপাড়া তাদের এরিয়ায় না। তারা মিরপুর-২ থানায় যোগাযোগ করতে বলে।
তিনি সেখানে গেলে তারা কুকুরের হত্যার মামলা করতে চাওয়ায় ভৎসনা করে বলে, এই এলাকা আমাদের অধীনে না আপনি শেরে বাংলা থানায় যোগাযোগ করেন। শেরে বাংলা থানায় গেলে সেখানে তারা তদন্ত করবে বলে আশ্বাস দেয়। বিষয়টা আন্তরিকতার সাথে নেয়। কিন্তু
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই থানা থেকেও তদন্তে এসে, পুলিশ জানায় এই এলাকা শেরে বাংলা থানার অধীনেও না।
সোনিয়া রিফাতের প্রশ্ন তাহলে তিনি এবং তার হতভাগা কুকুরটি আসলে কোন থানার বাসিন্দা?
তিনি আদালতের মাধ্যমে মামলা লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রাণী অধিকার আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে প্রানীদের প্রতি সহিংসতা চালাতে অনেকেই ভয় পাবে বলে তিনি মনে করেন।

সদ্য প্রকাশিত

সম্পর্কিত পোস্ট