“ব্যাচ ২০০৩” চলচ্চিত্রে সজলের দুর্দান্ত পারফর্মেন্স লুফে নিয়েছে দর্শক-শ্রোতারা!

রিফাত রাহুল খাঁন :দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফরম বিঞ্জে মুক্তি পাওয়া ‘ব্যাচ ২০০৩’ ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন দর্শকনন্দিত অভিনেতা আবদূন নূর সজল।
এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকমহলে বেশ সাড়া ফেলেছে তার দুর্দান্ত অভিনয়। খলনায়ক হিসেবে পর্দায় দেখা মিলেছে তার। ছবিটিতে দেখা গেছে সজলের মুখ ঝলসানো! মনে হচ্ছে কেউ যেন এসিড মেরেছে! মুখের এক পাশ পুড়ে গিয়েছে! এ যেন এক ভিন্ন সজলের আবির্ভাব। এমন দৃশ্যে প্রিয় অভিনেতাকে দেখে প্রশংসা করছেন দর্শকরা।

পার্থ সরকার পরিচালিত সাইকো-থ্রিলার গল্পের সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ‘ব্যাচ ২০০৩’।
সজল বলেন, এই কাজটির জন্য এতটা পরিশ্রম করেছি যা বলে বোঝাতে পারবো না। যখন কোনো কাজ ডেডিকেশন নিয়ে করা হয় তখন সেই কাজটির প্রতি একটা আশা তৈরি হয়। এই সিনেমাটি নিয়ে আমি অনেক বেশি আশাবাদী ছিলাম। দর্শকদের এমন ভালোবাসায় ভীষণ আপ্লুত। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা আমাকে সাপোর্ট করার জন্য।
দর্শকদের এ ছবিটি নিয়ম রিভিউ এর কোন কমতি ছিল না৷ ভক্তরা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন এ ছবিটি দেখে৷

মাসুদ নামের একজন মুভিটি নিয়ে লিখেছেন-
অভিনয়শিল্পী সজল নিজের গতানুগতিক অভিনয়শৈলীকে ভেঙে আবার নতুন করে গড়তে পেরেছেন বলেই আমার মনে হয়েছে। চরিত্রটিও ছিল ব্যতিক্রম। একজন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে তিনি সফল হয়েছেন।

কুড়াল হাতে কিছু দৃশ্য, বিশেষ করে “যেদিন বন্ধু চলে যাব…” গান গাইতে গাইতে এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি ছিল মনে রাখার মত।
মুভিটি দেখে আমার মনে হয়েছে অভিনয়শিল্পী সজল অনেকদিন অপেক্ষায় ছিলেন ভিন্ন একটি চরিত্রের জন্য। তিনি সেই ভিন্ন চরিত্রটি পেয়েছেন এবং নিজের অভিনয় দক্ষতাকে আবার প্রমাণ করেছেন।

সজলের প্রতিশোধ নেওয়ার দৃশ্য, এক্সপ্রেশন, বডি মুভমেন্ট, চরিত্রের সাথে মিল রেখে পোশাক সবই বেশ ভালো ছিল। মানানসই ছিল।

এক কথায় বলতে গেলে তাঁর চরিত্রটির/অভিনয়ের জন্যই মুভিটি ফুটে উঠেছে। নিঃসন্দেহে আমার দেখা অভিনয়শিল্পী সজলের একটি সেরা কাজ এটি।

সাদিয়া আফরিন নামে একজন
লিখেছেন –

একজন ভালো ছেলে কিভাবে সাইকো হয়ে যায়,স্কুলে র‍্যাগিং এর পরে একজন ছাত্র কিভাবে ভয়কে জয় করে এবং পরবর্তীতে সে কতটা নির্মম ও ভয়ংকর হয়ে উঠে।এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমা ” ব্যাচ ২০০৩।”

ব্যাচ ২০০৩ সিনেমায় উল্লেখযোগ্য একটি ডায়ালগ-
” এই সেই দরজা যে দরজা সেদিনও আমাকে আটকে রাখতে পারেনি, আজকেও আটকে রাখতে পারবে না।”

এই ডায়ালগকে কেন্দ্র করে সজল ভাইয়াকে ছোট্ট করে একটা কথা বলতে চাই,
এই সেই দরজা যে দরজা তোমাকে একুশ বছর আগেও আটকে রাখতে পারেনি আজকেও সিনেমা জগতে আটকে রাখতে পারলো না।
অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও দোয়া ভাইয়া তোমার জন্য।”

নুসরাত জাহান নামের একজন লিখেছেন-
#ব্যাচ_২০০৩…

পাঁচ বন্ধু কে নিয়ে গড়া রহস্যে মোড়ানো সিনেমা ব্যাচ-২০০৩… পাঁচ বন্ধুর অতীত বর্তমানের কিছু দৃশ্য ছিল চোখ ধাঁধানো…এমন কি গল্পের একদম শেষ দৃশ্য টা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তত ছিলাম না…
১ ঘন্টা ২৮ মিনিটে ভিতর একটু বোরিং লাগেনি… বাংলাদেশে এ ধরনের কন্টেন্ট খুব কম দেখা যায়…

,,যারা এখনো দেখেনি তারা দেখে নিন ব্যাচ-২০০৩…
#Binge app e…

 

রাফিজা খাতুন নামে একজন এ চলচ্চিত্র নিয়ে লিখেছেন –

#Bach_2003

গত ৮ ই এপ্রিল #Binge. এ মুক্তি পাওয়া টেজার থেকে এখনও পর্যন্ত সাড়া জাগানো সিনেমা #Bach_2003…..এই সিনেমার সজল ভাইয়ার সুমন চরিত্রটি নজর কেড়েছে দর্শক মহলে….
আমার কিছু ভালোলাগা সুমন চরিত্রের❤❤❤
কুড়াল ঘাড়ে করে বন্ধুদের খোজা…..
তার চোখের,হাতের এক্সপ্রেশন….
মুখে এসিড লাগার পর মাটিতে গড়িয়ে পড়ার পর যে আর্তনাদ…..
এশার মৃত্যু দেখে আর্তনাদের এক্সপ্রেশন……
আমি একদিন চলে যাবো গান গেয়ে হেটে চলা….
আগুনে আটকা পড়ে মারিয়া বলে চিৎকার করা….
মেঘে ঢেকে আসা চাদেঁর দিকে তাকিয়ে থাকা…..
ভয়ংকর চোখের এক্সপ্রেশনগুলো……
সব মিলিয়ে দারুন কিছু ভালোলাগা এ সিনেমাাত App…দেখুন
##ব্যাচ_২০০৩

রাফায়েল আহসানের গল্প াত অবলম্বনে ক্ল্যাপবোর্ড এন্টারটেইনমেন্টের প্রযোজনায় এই সিনেমাতে সজল ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাশনুভা তিশা; কাজী নওশাবা আহমেদ ; শিপন মিত্র ; তন্ময়; শারমিন আঁখি; আনিকা তাবাসসুম ; তৌহিদুল ইসলাম; ফজলে রাব্বি; জান্নাত প্রমুখ৷

সদ্য প্রকাশিত

সম্পর্কিত পোস্ট