যেদিন এ সমাজের মানুষের মনের হিংস্রতা ও চোখ নমনীয় হবে সেদিন হয়তো এই পাশবিকতা বন্ধ হবে

প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনও না কোনও জায়গায় ধর্ষণ হচ্ছে। ৮ মাসের শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউ ধর্ষকের লালসা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারছেন না।

আমি শুধু যদি গত কয়েক দিনে আমার উপস্থাপন করা নিউজের হেডলাইন বলি, তাহলে সেগুলো এমন-

১. সিলেটে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ।
২. গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তাঁর স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন দেলোয়ার বাহিনীর বাদলসহ অন্যরা। এরপর তারা গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
৩. কুষ্টিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করলো মাদ্রাসা সুপার।
৪. হবিগঞ্জে গৃহবধূর হাত পা ও মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ।
৫. সিলেট নগরীতে পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ।
৬. গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারন করে ব্লাকমেইল করছে ধর্ষক।
৭. কাশবনে তরুণীকে যৌন নিপীড়ন।
৮. দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪ জন শিশু ধর্ষণের শিকার।

এই হেডলাইনগুলো আরও লম্বা করা যায় কারণ ঘটনা আরও আছে। আবার কিছু ঘটনা অগোচরেই থেকে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে এটি একটি বড় কারণ। অবাধ আকাশ সংস্কৃতির বিচরণ, পারিবারিক মূল্যবোধ ছাড়াও এর বাইরে আরও কারণ থাকতে পারে।

এই সমাজে নিম্ন থেকে উচ্চ শ্রেণি পর্যন্ত কোথায় ধর্ষণ নেই?

যেদিন এই সমাজ নারীকে মানুষ হিসেবে সম্মান করতে শিখবে সেদিন হয়তো এইসব বন্ধ হবে। যেদিন তাদের মনের হিংস্রতা ও চোখ নমনীয় হবে সেদিন হয়তো এই পাশবিকতা বন্ধ হবে। স্বল্পসময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা খুবই জরুরী হয়ে পড়ছে। আমার এখন ঘেন্নাও আসে না।

লেখক : সংবাদ উপস্থাপক: মোহসেনা শাওন ; এনটিভি। ( সংগৃহীত)

সদ্য প্রকাশিত

সম্পর্কিত পোস্ট