বান্ধবীর সঙ্গে টিকটক করে দল থেকে বাদ ফুটবলার

নিজের ক্লাব হেরেছে ১-৩ গোলের ব্যবধানে। দলের সবাই হতাশায় নিমজ্জিত। পরাজয়ের শোক ভুলতে পারছে না কেউ। এমতাবস্থায় কোন খেলোয়াড়ের পক্ষে বান্ধবীকে নিয়ে টিকটক ভিডিও বানানো ঠিক কতটা সমীচীন? এমনটা করলে দলের প্রতি দায়বদ্ধতাই থাকা কতটুকু?

এমনই ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাব রোমার ফুটবলার মিরকো আনতনুচ্চি। দলের পরাজয়ের কিছুক্ষণ পরই বান্ধবীকে নিয়ে টিকটক ভিডিও আপলোড করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যার শাস্তিস্বরূপ দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ২১ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ডকে।

তবে রোমা থেকে নয়, মিরকো বাদ পড়েছেন পর্তুগিজ ক্লাব ভিতোরিয়া সেতুবাল থেকে। চলতি বছরের শুরুতে মিরকোকে ধারে ভিতোরিয়ায় পাঠিয়েছিল রোমা। কিন্তু পুরো মৌসুম সেখানে শেষও করতে পারলেন না মিরকো। এর আগেই তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ভিতোরিয়া, ফেরত পাঠিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাব রোমায়।

ঘটনা গত শনিবারের। পর্তুগিজ লিগের ম্যাচে ভোয়াবিস্তার কাছে ১-৩ গোলে হেরেছিল ভিতোরিয়া। ক্লাবের সবাই যখন সেই পরাজয়ের কারণ খুঁজতে ব্যস্ত, তখন মিরকো সময় কাটাচ্ছেন বান্ধবীর সঙ্গে টিকটক বানাতে। পরে সেই টিকটক ভিডিও আপলোড করতেই পড়েছেন ক্লাবের রোষানলে।

ভিতোরিয়া কোচ হুলিও ভেলাজকুয়েজ বলেন, ‘মিরকো আনতনুচ্চি এখন থেকে আর ভিতোরিয়ার খেলোয়াড় নয়। তার মূল ক্লাব রোমাকেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে আমাদের মধ্যকার চুক্তি শেষ। আমরা এমন কোন খেলোয়াড়ের ওপর আস্থা রাখি না যে আমাদের সমর্থক এবং ক্লাবের ইতিহাসের প্রতি সম্মান দেখায় না। এই ক্লাবের জার্সি পরা মানে পুরো ২৪ ঘণ্টা ক্লাবের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে।’

মিরকোকে বাদ দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখানে জটিলতার কিছু নেই। পরিস্থিতিটা খুবই সহজ। ক্লাব, ম্যানেজম্যান্ট, টেকনিক্যাল টিম এবং অন্যান্য স্টাফরা একমত হয়েছে যে, একজন ধারে আসা খেলোয়াড়ের কাছ থেকে আমরা যেমনটা চাই, ঠিক তেমনটা পাইনি। আমাদের সমর্থকরাও এমনটা প্রাপ্য নয়।’

ভিতোরিয়ার কাছ থেকে তিরস্কৃত হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন মিরকো। ইনস্টাগ্রামে তিনি বলেছেন, ‘আমি নিজের ভুল বুঝতে পারছি। ক্লাব, সমর্থক, ম্যানেজার এবং আমার সতীর্থ যারা দুঃখ পেয়েছেন, তাদের সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরে যাচ্ছি আমি। এখন থেকে আমাকে শুধু সেতুবাল জার্সিতেই ঘাম ঝড়াতে দেখবেন। ভিতোরিয়ার জয় হোক।’

সদ্য প্রকাশিত

সম্পর্কিত পোস্ট