বছরের সেরা নাটক, আকতার হামিদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া তামান্না সরকার ও আনিসুর রহমান মিলনকে নিয়ে একসাথে দুই নাটক।
বিদেশ ফেরত জামাই, রচনায় আছেন নতুন প্রজন্মের শ্রুতি মধুর ভাষার খেলোয়ার রেদোয়ান আকতার তন্ময়। ও বাসর রাতে বৌ পালায় যার রচনায় আছেন বহু সুপার ডুপার হিট নাটকের বুনিয়াদ রুহুল আমিন পথিক। নাটক দুইটাতেই তামান্নার সাথে ঝুটি বেধেছেন আনিসুর রহমান মিলন। সাথে আরও যারা হাল ধরেছেন গুনি অভিনেতা মাসুম আজিজ, মমতাময়ি মা শিখা মৌ, আহমেদ সাজু, কাদেরীসহ আরও অনেকে। বিদেশ ফেরত জামাই নাটকটিতে ফুটে উঠেছে, নয়ন দেনা করে ও জমি বিক্রি করে বিদেশ যায়। দেনা শোধ করতে করতে বেশ কয়েক বছর পার হয়ে যায়। টাকা ইনকাম করে সুখে শান্তিতে থাকার জন্য তার বিয়ের বয়স পার হতে থাকে। সে দিকে তার কোন খেয়ালই থাকে না।এক সময় সে দেশে এসে বিয়ে করে। কিন্তু নয়নের সংসারে আছে তার এক বিধবা বোন। এবং খাড়ার উপর মরার ঘা হয়ে আছে তারই খালাতো ভাই ফারুক। সংসারে এমনভাবে মিশে আছে কেউ বুঝতে পারে না যে ফারুক তাদের ক্ষতি করে চলছে। নয়ন দেশে এসে ময়না নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে। এবং বিধবা বোনটাকে যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেয়। অল্প কিছু দিনের মধেই নয়ন বিদেশ চলে যায়। তারপর ফারুকের বিভিন্ন সময়ের কুট বুদ্ধির কাছে হার মানে নব বিবাহিত রসেভরা টইটুম্বর ময়না বেগম। স্বামী বিদেশ, ময়নার মনে অনেক আকুতি, আর সেই সুযোগ নিয়ে ময়নার সাথে প্রেম শুরু হয় ফারুক। ময়না নিজের নামে একাউন্ট করে নয়নের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। নয়ন বিদেশে থেকে বুঝতেই পারে না ময়নার চালাকি। ময়না নয়নের সুখের সংসারে অশান্তি লাগিয়ে দেয়। এক সময় ময়না ফারুকের সাথে পালিয়ে চলে যায়। নয়ন যখন জানতে পারে তখন তার সারা জীবনের সমস্ত ইনকাম সব কিছুই ময়নার নামে। নয়ন নিঃস্ব অসহায়, ডিসিশন নেয় সে আর দেশে আসবে না। মোদ্ধা কথা দেশে বৌ রেখে বিদেশ গেলে কি হয় তাই ফুটে উঠেছে নাটকটিতে।
আবার বাসর রাতে বৌ পালায় নাটকটিতে মন্টুর বিয়ের রাতেই বৌ পালিয়ে যায়। শিরিন মন্টুর খালাতো ভাই। সে মন্টুর বাড়িতেই থাকে। মন্টুর বাসর রাতে তিনটি বৌ পালিয়ে গেলে এলাকার মধ্যে মন্টু ঘৃনার পাত্র হিসাবে পরিচিতি পায়। তাকে সবাই হারবাল ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে বলে কিন্তু মন্টু চিকিৎসা নিতে চায় না। আবার মন্টুর বিয়ে না হলে তার ছোট ভাই ঝন্টুর বিয়ে হবে না। এক পযার্য়ে মন্টুর আবার বিয়ে ঠিক হলে শিরিন বিয়ে ভেঙে দেয়। এ কথা মন্টু জানতে পারলে শিরিন বলে শিরিন সে মন্টুকে ভালোবাসে। তার সাথে বিয়ে না হলে সব বিয়েই সে ভেঙে দিবে। শেষে মন্টুর সাথে শিরিনের বিয়ে হয়।