দক্ষিণ কোরিয়াকে হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, দুই দেশের মধ্যবর্তী বেসামরিক জোনে ঢুকতে প্রস্তুত রয়েছেন তারা।
সম্প্রতি বেলুনের মাধ্যমে উস্কানিমূলক বার্তা আসে কিমের দেশে। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে পুরনো শত্রুতা আবার জেগে উঠেছে। তারই প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে এমন কড়া হুমকি দিল উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী।
এর আগে চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়াকে হুমকি দেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন। পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তার এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জবাব এল, বেসামরিক জোনে প্রবেশ করতে প্রস্তুত রয়েছেন তারা।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং। দক্ষিণ কোরিয়াকে শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিগগিরই সীমান্ত শহর কায়েসংয়ের নিরর্থক আন্তঃকোরীয় লিঁয়াজো অফিসের পতনের সাক্ষী হবে সিউল।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ অ্যাজেন্সিতে কিম জং উনের বোনের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের সর্বোচ্চ নেতার অনুমতিতে আমার ক্ষমতার আওতা অনুযায়ী, শত্রুর বিরুদ্ধে জোরাল ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি।
করোনাভাইরাসের কারণে গত জানুয়ারি থেকে কায়েসংয়ের লিঁয়াজো অফিস বন্ধ রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে অন্তত তিনবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন উত্তরের প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। চিরবৈরী এ দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রধানদের বৈঠকে লিঁয়াজো অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বেশ কিছুদিন ধরেই দক্ষিণে পালিয়ে যাওয়া উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের বিরূপ কর্মকাণ্ড নিয়ে দুই কোরিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার পর সীমান্তে লিফলেট বিতরণ ও বার্তা পাঠানো নিয়ে এ দুই দেশের মাঝে সাম্প্রতিক বিরোধের সূত্রপাত হয়।
তবে হুমকিতে বসে নেই সিউলও। মঙ্গলবার এক বার্তায় দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে উত্তর কোরীয় সামরিক বাহিনীর গতিবিধির ওপর গভীর নজর রাখছে তারা।