সুশান্তের শোকে বৌদির মৃত্যু

সুশান্ত সিং রাজপুত না ফেরার দেশে চলে গেছেন রোববার সকালে। একদিন পর বিকেলে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে মুম্বাইতে। আর তার ঠিক পরই ফের দুঃসংবাদ সিং পরিবারে। চলে গেলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বৌদি।

একদিকে যখন মুম্বাইতে সুশান্তের শেষকৃত্য চলছিল, তখনই বিহারের পূর্ণিয়ায় ওই আত্মীয়র মৃত্যু হয়। তিনি সুশান্তের এক ভাইয়ের স্ত্রী। জানা গেছে, সুশান্তের মৃত্যুর খবর সহ্য করতে পারেননি তিনি। ওই খবর শোনার পর থেকেই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন।

এদিন বাবার হাতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অভিনেতার। সোমবার সকালেই পাটনা থেক মুম্বাই পৌঁছান অভিনেতার বাবা। ভিলে পার্লেতে পবন হংস ক্রিমেটোরিয়ামে শেষ শয্যায় শায়িত হন অভিনেতা।

এদিন তার পরিবারের পাশাপাশি, বন্ধুবান্ধবরাও উপস্থিত ছিলেন শেষযাত্রায়। এসেছিলেন অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন, শ্রদ্ধা কাপুর প্রমুখ। শেষযাত্রার সময় থেকে অঝোরে বৃষ্টি নামে মুম্বাইতে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন পুলিশ জানিয়েছে, খুন নয়, আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত। সোমবার মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ৩৪ বছর বয়েসী এই অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে গলায় দড়ি দেওয়ার ফলে অ্যাসফিকসিয়া।

পুলিশ জানিয়েছে, গত তিন মাস ধরে বাড়িতেই নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলেন সুশান্ত। এদিন সুশান্তকে খুনের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। প্রভিশনাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বান্দা পুলিশ স্টেশনে এদিন জমা দেন চিকিৎসকরা।

তিনজন চিকিৎসকের একটি টিম সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করে বলে জানা গেছে। মৃত্যুর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে অ্যাসফিকসিয়ার ফলেই সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে। যা মূলত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার ফলেই হয়ে থাকে।

রোববার রাতে তিন ঘণ্টা ময়নাতদন্ত চলে বলে সূত্রের খবর। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়। গলাজুড়ে কোনও শক্ত বাঁধনের স্পষ্ট দাগ রয়েছে, যা আত্মহত্যার তত্ত্বকেই জোরালো করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়লেও, সোমবার বিকেলের মধ্যেই পুরো রিপোর্ট জমা পড়বে।

সদ্য প্রকাশিত

সম্পর্কিত পোস্ট