করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ। গত ১৮ মার্চ থেকে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, প্রদর্শক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সব সমিতি মিলে হল বন্ধের ঘোষণা দেয়। প্রথমে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা এলেও পরে করোনো পরিস্থিতি খারাপ এখন পর্যন্ত হল বন্ধ রয়েছে।
হল বন্ধ হওয়ায় গত রোজার ঈদে কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। ফলে কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পের। একই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আসন্ন কোরবানি ঈদ ঘিরেও। ক্রমান্বয়ে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠছে দেশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখন বন্ধ থাকলেও সারাদেশেই প্রায় সবকিছুই এখন স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে অফিস-ব্যবসা। খুলছে শপিংমলগুলো।
কিন্তু এখনো বন্ধ সিনেমা হলো। কবে খুলবে তাও নিশ্চিত নয়। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে হল খুলতে পারে এমন একটা সম্ভাবনা ছিল। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদে সিনেমা খুলবে না।
রোববার (২৬ জুলাই) সকালে তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ সিদ্ধান্ত জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার প্রকোপ চলাকালীন সময়ে দেশে বন্যার আঘাত এসেছে। এমন সময় সিনেমা হল খোলা ঠিক হবে না। কারণ করোনা বা বন্যায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সিনেমা চালানো সম্ভব নয়। পাশের দেশ ভারত কিংবা পাকিস্তানেও সিনেমা হল খুলছে না।
তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি অনেক কিছুই করছেন সিনেমার সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে। তিনি আমাদের প্রতিনিয়ত নানা নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন। সবকিছু ভেবেচিন্তে মনে হচ্ছে এ মুহূর্তে সিনেমা হল চালু করা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। আমরা আরও ধীরে এগুতে চাই এই ব্যাপারে।’
এদিকে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা মিঁয়া আলাউদ্দিন জানান, প্রদর্শক সমিতির নেতাদের দাবি ছিল ঈদে সিনেমা হল খুলে দেয়া হোক। কিন্তু সরকার এখনই এ সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না। তাই ঈদ উপলক্ষে সিনেমা হল খুলবে না। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ নিয়ে আবার আলোচনা হবে।