দেশবরেণ্য আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর ঢাকায় ফিরেছেন। টানা ৯ মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থেকে ১১ জুন রাত আড়াইটার একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি নিজের মিরপুরের বাসাতেই অবস্থান করছেন।
কোলাহলমুক্ত থাকতে দেশে ফেরার খবর এখনই কাউকে জানাতে চাননি এন্ড্রু কিশোর। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়েক দিন হলো দেশে এসেছি। তবে শরীরের অবস্থা এখন ভালো নয়। কোলাহলমুক্ত থাকতে ডাক্তারের কড়া নির্দেশ, সেই নির্দেশনা মেনেই চলছি।’
অসুস্থ অবস্থায় গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে।
মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু কিশোর। এর আগে সিঙ্গাপুরে হুইল চেয়ারে বসেও একটি অনুষ্ঠানে গানও শুনিয়েছিলেন তিনি। চলছিল দেশে ফেরার প্রস্তুতিও। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দেশে ফেরা হয়নি তার। অবশেষে বিশেষ ফ্লাইটে ফিরলেন দেশে।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। চিকিৎসক জানিয়েছেন, কয়েক মাস পর পর নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে তাকে।
সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির হাজার হাজার গান গেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানে, পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছুঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি, সবাইতো ভালোবাসা চায়, বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে, তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন, ভালো আছি ভালো থেকো, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, চোখ যে মনের কথা বলে, পড়েনা চোখের পলক ইত্যাদি।